ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে ফলাফল হিসেবে তথ্য পাওয়া যায়। এই প্রাপ্ত ডেটাকে প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ, বিন্যাস প্রভৃতির মাধ্যমে অর্থপূর্ণ তথ্য বা ইনফরমেশনে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ বা ডেটা প্রসেসিং (Data processing)। যেমন পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে ছাত্রদের মেধাক্রম নির্ণয়, বাৎসরিক কেনাবেচার সাপেক্ষে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাভ, লােকসানের হিসাব নির্ণয় ইত্যাদি। বাহ্যিকভাবে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করার দুটো পদ্ধতি আছে। যথা হাতে-কলমে ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সহায়তা নিয়ে। তাই ডেটা প্রসেসিং দুই প্রকার, যথা-
১. MDP (ম্যানুয়াল ডেটা প্রসেসিং)
২. EDP (ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রলােসং)
ম্যানুয়াল ডেটা প্রসেসিং (MDP)
কম্পিউটার বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া হাতে কলমে ডেটা প্রসেসিং করাকে MDP (Manual Data Processing) বলে। যেমন: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন রিপাের্ট বা পে-রােল তৈরি করতে হলে প্রত্যেক কর্মী মােট কত ঘণ্টা কাজ করেছে তার ভিত্তিতে ক্যালকুলেটর চেপে কাগজ-কলমে লিখে যােগ, বিয়ােগ, গুণ ও ভাগ করে চূড়ান্ত রিপাের্ট তৈরি করা। এতে অনেক সময় লাগে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচুর।
ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রসেসিং (EDP)
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে কম্পিউটার বা অন্য কোন যন্ত্রপাতির সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে প্রসেসিং করা হয় তাকে ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রসেসিং বা EDP (Electronic Data Processing) বলা হয়। এতে সময় অনেক কম লাগে এবং একই কাজ বার বার করতে হয় এমন কাজ দ্রুত ও সহজে করা যায়। কম্পিউটার দিয়ে অতি দ্রত নির্ভুলভাবে ডেটা প্রসেসিং করা যায়। এক্ষেত্রে ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা কম্পিউটারে ঢুকানাে হয়। কম্পিউটার তার অস্থায়ী মেমােরিতে ডেটা রেখে প্রোগ্রামের নির্দেশ অনুযায়ী প্রসেসিং করে। কম্পিউটার প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী ডেটাকে বিভিন্নভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং প্রয়ােজনীয় গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বা যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সবশেষে কাঙ্ক্ষিত তথ্য আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদর্শন করে।